Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ নভেম্বর ২০২৩

প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি এবং ইতিহাস

Visit Main website:  https://sbmc.edu.bd
 

 

শেবাচিম (সাল - ১৯৯৩)

 

শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (সংক্ষেপে শেবাচিম) বাংলাদেশের দক্ষিণের বিভাগীয় শহর বরিশালের দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায় অবস্থিত চিকিৎসা বিষয়ক উচ্চশিক্ষা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান। সরাসরি সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়; যা বর্তমানে দেশের একটি অন্যতম প্রধান চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; পুরোনো আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে অন্যতম। এখানে ১ বছর মেয়াদী হাতে-কলমে শিখনসহ (Internship) স্নাতক পর্যায়ের ৫ বছর মেয়াদি এম.বি.বি.এস. এবং বি.ডি.এস. কোর্সে শিক্ষাকার্যক্রমে প্রতিবছর যথাক্রমে ২২০ ও ৫২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়ে থাকে।

১৯৬৪ সালে বরিশাল মেডিকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হলেও ১৯৬৮ সালে এর কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীকালে শেরে বাংলা এ.কে ফজলুল হকের নামানুসারে কলেজের নতুন নামকরণ হয় শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ। এ কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত। এখানকার এম.বি.বি.এস (Bachelor of Medicine & Bachelor of Surgery) ডিগ্রি ইংল্যান্ডের জেনারেল মেডিক্যাল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত।

এখানে রয়েছে এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল, ত্রিশ শয্যা বিশিষ্ট বার্ণ এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট, দশ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ। রয়েছে একটি একাডেমিক ভবন, ৩টি ছাত্রাবাস, ২টি ছাত্রী নিবাস, ২টি ইন্টার্নী ডক্টরস হস্টেল, ১টি নার্সিং কলেজ, ১টি নার্সিং ছাত্রীনিবাস, ১টি নার্সিং ছাত্রাবাস, ১টি মসজিদ, ১টি জিমনেসিয়াম, সুবিশাল খেলার মাঠ। ক্যাম্পাসের মধ্যে ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সাইন্সেস, আর এইচ স্টেপ,মর্গ, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ডটস কর্ণার রয়েছে। কলেজের সামনে একটি শহিদ মিনার রয়েছে, আছে একটি মুক্তমঞ্চ; এছাড়া গোল্ডেন জুবিলি উদ্‌যাপনের স্মারক স্তম্ভ ২০১৮ সালে উদ্বোধন করা হয়েছে। ২০২০ সালে করোনা বিভাগ এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৮ টি আইসিউ শয্যা ও ১৫০ ট বেড নিয়ে।

 

এর শিক্ষা কার্যক্রম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের অধীনে পরিচালিত হয়। এখানে রয়েছে ১৯টি বিভাগ, ৪টি অত্যাধুনিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মাল্টিমিডিয়া লেকচার গ্যালারি, একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, শিক্ষার্থীদের রিডিং রুম, ডক্টরস রিডিং রুম, সাইবার ক্যাফে, টিচারস লাউঞ্জ ও ডরমিটরি।

প্রতি বছর এখানে ২৫২জন ছাত্র-ছাত্রী গ্র্যাজুয়েশন কোর্সে (এমবিবিএস ও বিডিএস) ভর্তি হন। এখানে পোস্ট-গ্রাজুয়েশন কোর্স হিসেবে রয়েছে এমফিল ও ডিপ্লোমা। এছাড়াও প্রতি বছর ১০০ জন ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং এ ভর্তি হয় এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি এন্ড নার্সিং সায়েন্স এ ২৫ জন ভর্তি হয়।

 

 

\